ব্যুরো রিপোর্ট: যশোর সদর উপজেলায় ইনফরমাল সেক্টরে এপ্রেনটিসশীপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার যশোর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ ইব্রাহীম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোর জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের অন্যতম বিষয় ছিল দক্ষ মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সবার জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরন ও মাথাপিছু রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের এই এ্যাপ্রেনটিসশীপ বা কারখানায় হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে কাজ শেখার পদ্ধতিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন ধারণা। তবে দক্ষ কর্মী তৈরী আর কল কারখানার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা অপরিসীম। ‘সমাজের কোন অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন নয়’ টেকসই উন্নয়নের এই মূলমন্ত্র ধরে এটুআই প্রোগ্রাম বেকার যুবদের জন্য এপ্রেনটিচশীপ ( শিক্ষানবিশি) কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে যার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের সাথে সাথে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শিক্ষানবিশি কার্যক্রম একটি অনুকরণীয় উদ্যোগ। এ সময় তিনি প্রশিক্ষকগণকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার আহবান জানান।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন এপ্রেনটিচশীপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচির উপজেলা সমন্বয়কারী এস এম আরিফুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ইমদাদুল হোসেন, শিক্ষানবিশি কার্যক্রমে নির্বাচিত প্রশিক্ষক মরিয়াম নার্গিস, তোফাজ্জেল হোসেন মানিক, রবিউল ইসলাম, খালেদুর রহমান ঝন্টু, রাশেদ গাজী, মনির হোসেন, আব্দুল কাশেম, শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম,আসাদুজ্জামান,আব্দুস সামাদ, কামরুল ইসলাম মিঠু, ইনামুল ইমান, জাকির হোসেন, শাহীন হোসেন, বেনজির হোসেন, আল আমিন, জিয়ার আলী, রফিকুল ইসলাম এবং গোলাম মোস্তফা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় ১লা জুন থেকে যশোর সদর উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু হচ্চে যা চলমান থাকবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে ৩জন করে শিক্ষানবিশ ৬ মাসব্যাপী সপ্তাহে ৫ দিন নির্দিষ্ট ট্রেডে হাতে কলমে শিখবে। পাশাপাশি ৬০জন শিক্ষা নবিশ সপ্তাহে ১ দিন উপজেলা পরিষদ হলরুম,ইউনিয়ন পরিষদ হলরুম অথবা সুবিধামত যে কোন জায়গায় সফট স্কিল নিয়ে তাত্তি¡ক বিষয়ে শিখবে।
যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ বাজারে সাথী টেইলার্স, নূসরাত ডিজাইন ঘর, তাহিম মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার, নূসরাত ফার্ণিচার, জামতলা বাজারে হুসাইন ডিজাইন, মা ওয়েল্ডিং,দড়াটানার টুইংকেল বিউটি পার্লার, রেলগেটের সিয়াম মটরস, মনিহার বাসস্ট্যান্ডের রবিউল মটর এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, চুড়ামনকাটি বাজারে রাশেদ ইলেকট্রিক, মনির টেইলার্স, কাশেম ইলেকট্রিক, সোহান টেইলার্স, আলামিন ইলেকট্রিক,বাগডাঙ্গায় জাহাঙ্গীর ইলেকট্রিক,শাহীন প্লাম্বিং,আসাদ ইলেকট্রিক, ঝাউদিয়া বাজারে ইমান ওয়েল্ডিং, মুক্তার ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, ছাতিয়ানতলা বাজারে বেনজির ইলেকট্রিক প্রাথমিক ভাবে শিক্ষানবিশিদের কর্মক্ষেত্র নির্বাচিত হয়েছে।